বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন আশাব্যঞ্জক। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে টেলিযোগাযোগ অপারেটরের নানাবিধ সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি অপারেটরদের সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রাহকদের অভিযোগও বেড়েছে। এসব গ্রাহকের অভিযোগ যথাযথভাবে গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য এক্সেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস অপারেটর সমূহের নিজস্ব গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বা কাস্টমার কেয়ার এর বিধান রয়েছে। তবে কিছু সেবা/ সমস্যা রয়েছে যা সরাসরি অপারেটর সংশ্লিষ্ট নয়। যেমন, অনলাইন সোশাল মিডিয়া। ইদানিংকালে, ইন্টারনেট ও স্মার্ট ফোনের ব্যাপক প্রসারের ফলে এরূপ মিডিয়াতে মানুষের কার্যক্রম বাড়ার সাথে সাথে অনলাইনে দুষ্কৃতিকারীদের কার্যক্রমও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ব্যবহারজনিত নানাবিধ অসচেতনতাই মূলত এর জন্য দায়ী। এ সব সমস্যা সমাধানকল্পে ও সংশ্লিষ্ট পরামর্শের জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত কমিশনের সরণাপন্ন হচ্ছে।
এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট সেবাদান কারীকে অভিযোগ করেও যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পেলে বা উপেক্ষিত হলে তথা গ্রাহক স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে না প্রতিয়মান হলে তা কমিশনকে জানানোর সুবিধা রয়েছে। প্রচলিত ডাক, ইমেইল ও ওয়েবভিত্তিক মাধ্যম ছাড়াও অভিযোগ সরাসরি কলের মাধ্যমে গ্রহণের জন্য সম্প্রতি সর্টকোড ‘১০০’ চালু করা হয়েছে। উক্ত সর্টকোডে সরাসরি কল করে দেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত গ্রাহক টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট যেকোন অনিষ্পন্ন অভিযোগ অথবা পরামর্শ বিটিআরসি’র নিকট দাখিল করতে পারেন। বলতে বাঁধা নেই, সর্টকোড ‘১০০’বিটিআরসি’র অভিযোগ গ্রহণ মাধ্যমে একটি সময়োপযোগী সংযোজন।
এক নজরে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্টঅভিযোগ গ্রহন মাধ্যম গুলো নিম্নরূপঃ
মাধ্যম | ব্যবহারবিধি |
---|---|
Short-Code: 100 | কল করুন। |
বিটিআরসি ওয়েবসাইটে এসে অভিযোগ করুন। |